মান-অভিমান
- হিমেল কবি - হিমেল ও শিশু সাহিত্য সমগ্র ২৭-০৪-২০২৪

মাগো,আমার ভালো লাগে
নদীর বয়ে যাওয়া,
শান্ত নীরব পুতুল ঘাটে
ফুরফুরে যে হাওয়া;

বইছে নীরবধি-

তার পাশেতেই কানপেতে মা
শুনি,নদীর কুলুধ্বনি।।

মাগো,আমার ভালো লাগে
পাখির গাওয়া গান,
সেই গানেতে দোলে কেমন
শিশুর কমোল প্রাণ।

দেখো কেমন মধুর সুরে-

সেই গানেরি তান ধরেছে
কোকিল,শ্যামা দোয়েল।

মাগো,শুনতে ভালো লাগে আমার
তোমার গাওয়া গীত;

ভূতল লভে ঝৃতুরাজন যে
ফরসা রঙের শীতে-

মা,গুনগুনিয়ে গাওগো যখন
তখন ভালো লাগে।।

মাগো,আরো ভালো লাগে আমার
পত্রপটে নীর,

তোমার হাতে রান্না করা;
দুগ্ধ-পায়েস,ক্ষীর।

আচ্ছা মাগো,হয় কি এমন দিন
তোমায় ছেড়ে থাকবো আমি;
দুরে বহুদুরে-

তুমিই যদি না থাকো মা;
সব শিশুরা,সব পাখিরা
গান যে যাবে ভুলে।

তোমায় ছেড়ে মাগো-
আমি থাকবো কেমন করে।

তুমি হীনা হিমেল কবি
কাঁদবে কেমন করে,

মাগো,আমি পথের শিশু
পথ যে যাবো ভুলে।

মাগো আমার ভালো লাগে
আকাশ ভরা তাঁরা,

এমন ভিড়ের মাঝে-
ছুটছে কেমনে তারা

দুর হতে দুর দেশে।

আমার ভালো লাগে মাগো
সুয্যি যখন ডুবে;
অমনি করে লুটোতে মা
আমারো স্বাধ জাগে-

আচ্ছা মাগো,কেন এমন হয়?
চাঁদ-শশী,তাঁরারা সব জেগে নীরব রয়।

জানি,তুমি বলবে না যে আজ
তাইতো মুক করেছো ভার;
বলো মাগো,আমার উপর
কীসের এত রাগ?

কিন্তু,আমি তো তা জানি
ওরা অবুঝ শিশু যে-
ওরা যে আজ মুক ঢেকে
মায়ের অভিমানে।

এবার তো মা হাসো-

নয়তো গো মা তোমার খোকা,

ওদের মতো আর কনোদিন
কথা ক'বে না'কো।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।